জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শনিবার রাতে বলেন, “জামালপুরের ডিসিকে ওএসডি করছি। এর প্রক্রিয়া চলছে। রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।”
সম্প্রতি ফেইসবুকে ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড এবং ২৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যাতে একজন পুরুষ ও একজন নারীর অন্তরঙ্গতা দেখা যায়।
ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম, যেখানে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর তার অফিসের বিশ্রাম কক্ষে নারী সহকর্মীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটান বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর সাংবাদিকদের বলেছেন, ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও তিনি দেখেছেন। ভিডিওতে দেখা যাওয়া ওই নারী তার অফিসের এক কর্মচারী, কিন্তু পুরুষটি তিনি নন।
ভিডিও প্রথম প্রকাশকারী ফেইসবুক আইডিটি ভুয়া এবং এটি একটি সাজানো ঘটনা বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি শনিবার বলেন, “জামালপুরের জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর বিষয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিভাগীয় কার্যালয় থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।
“বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”